নিজস্ব প্রতিনিধিঃ আনোয়ার হোসেন। যশোর থেকে
বেনাপোল স্হল বন্দরে মিথ্যা ঘোষনায় আমদানিকৃত এক কোটি ২০ লাখ টাকা অধিক মুল্যের ৩১৪ ড্রাম কেমিকেলের একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস হাউসের সদস্য গন।
গতকাল রোববার দুপুরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউস এর কর্তৃপক্ষ এ পণ্য চালানটি আটক করেন।

গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই বেনাপোল অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২২ আগস্ট আমদানি কারক এশিয়ান পেইন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে ৩১৪ ড্রাম ৪৮ হাজার কেজি কেমিকেল আমদানি করে। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি ২০ লাখ টাকা অধিক। মালামালগুলো তারিক এন্টারপ্রাইজ নামে সিএন্ডএফ এজেন্ট বন্দরের ৯ নাম্বার পণ্যগারে খালাস করে। পণ্য চালানটির বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা বেনাপোল শাখার কর্মকর্তাদের কাছে খবর আসে ঘোষণাপত্র ছাড়া বহির্ভূত অধিক ওজন ও শুল্ক ফাঁকির গোপন তথ্য। পরে এনএসআই সদস্যরা মালামালগুলোর ওপর নজরদারি শুরু করে। ২৬ শে সেপ্টেম্বর সকালে কেমিকেলগুলো কাস্টম হাউসের পরীক্ষণ ছাড়াই বাংলাদেশি তিনটি ট্রাকে লোড দিয়ে খালাস নেয়ার চেষ্টা করলে কাস্টমস কমিশনারকে অবহিত করে এনএসআই। পরে কাস্টমস হাউসের সদস্যরা কেমিক্যালের চালান জব্দ করে এবং কেমিক্যাল পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করতে পণ্য বেনাপোল কাস্টম হাউসে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে জানা যায়, প্রায় এক মেট্রিক টন কেমিক্যাল ঘোষণার ছাড়া অতিরিক্ত রয়েছে। এবং ঘোষণা দেয় দেড় মেট্রিক টন কেমিক্যালের কোনো হদিস নেই। পরে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে চালানটি আটক করা হয়।

এর আগে গত ১৯ সেপ্টম্বর এনএসআয়ের তথ্যের ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির উদ্দেশ্যে মিথ্যা ঘোষণায় আমদানিকৃত চার আমদানিকারকের ১ কোটি ১৮ লাখ টাকার পণ্য আটক করেন কাস্টমস হাউসের সদস্য গন।

বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস হাউসের উপকমিশনার অনুপম চাকমা বলেন, কেমিকেল পণ্যের চালান কাস্টমস হেফাজতে রয়েছে। তদন্তপূর্বক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।